সেই ৩ শিক্ষকের বিচার চেয়ে অধ্যাপকের স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ইএসই) বিভাগের ৩ শিক্ষকের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিভাগটির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকীর স্ত্রী তাহমিয়া তাসনিম আহমেদ।একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত বুধবার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ড. আশরাফ সিদ্দিকী।

• আরও পড়ুন... ছাত্রলীগ নেত্রীকে নেতার কুপ্রস্তাব

শুক্রবার (১ জুলাই) বিকেলে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ড. আশরাফের স্ত্রী বলেন, বারবার আমার স্বামী ড. আশরাফকে বিভাগের এই ৩ শিক্ষক হেনস্তা করে আসছে। আমার স্বামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয় বলে বিশেষ ক্ষমতায় এই তিন শিক্ষক- মো. নকিবুল হাসান খান, মো. রকিবুল হাসান এবং মো. আলিম মিয়া বারবার এমন কর্মকাণ্ড করেও বিচারের বাইরে থেকে যাচ্ছে। একাধিকবার দরজায় তালা লাগিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের ঘটনার পরও তারা হুমকি অব্যাহত রেখেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা শারিরিক, মানসিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

এ সময় তিনি আরও বলেন, গত ১৩ জুন ৩ ঘন্টার উপর তালা লাগিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে তার কক্ষে আটকিয়ে ছিলেন এই তিন শিক্ষক। এর পর থেকেই আমার স্বামী অসুস্থ। বৃহস্পতিবার শারিরিক অবস্থা খারাপ হলে ডাক্তারের পরামর্শে আমরা ময়মনসিংহের নেক্সাস হাসপাতালে ভর্তি করি। উনার হার্টের অবস্থা ভালো নেই। আমার স্বামীর কোন ক্ষতি হলে এই দায় কে নেবে। এখনো কেউ যোগাযোগ করেনি আমাদের সাথে।

• আরও পড়ুন... ট্রেনের ধাক্কায় নির্মাণাধীন রেল সেতুর প্রকৌশলী নিহত

হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, রোগির হার্টের অবস্থা ভালো নেই। প্রেসার হাই। চিন্তা থেকেই এমন হচ্ছে। রোগির সাথে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পর থেকেই অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। পরবর্তীতে আর বেশ কিছু পরীক্ষার পর রোগীর অবস্থা জানানো যাবে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এটি দুঃখজনক ঘটনা। আমি ড. আশরাফ সিদ্দিকীর থেকে একটি অভিযোগ পত্র পেয়েছি। একই সঙ্গে অন্য ৩ শিক্ষকের থেকেও অভিযোগ পত্র পেয়েছি। আমরা এই ঘটনাটিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। দুই অনুষদের ডিন ও সাবেক এক ডিনকে দিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। আর প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এভাবে চলতে থাকলে বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম অচল হয়ে যাবে, তা আমরা হতে দিতে পারি না।

• আরও পড়ুন... বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

এর আগে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে প্রথমে প্রক্টরের কাছে ও পরে বিচার দাবি করে রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন অধ্যাপক আশরাফ আলী সিদ্দিকী। তবে দীর্ঘসময় কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে প্রশাসনের নিশ্চুপ অবস্থানের কারণ দেখিয়ে ত্রিশাল মডেল থানায় এই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত বুধবার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ড. আশরাফ সিদ্দিকী।